ঢাকা , বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
হেরা ফেরি ৩-তে ফিরছেন টাবু বাশার-তিশার নতুন রোমান্সের গল্প ‘বসন্ত বৌরি’ ওজন কমাতে সার্জারি, প্রাণ গেল মেক্সিকান ইনফ্লুয়েন্সারের ‘স্কুইড গেম’ অভিনেত্রী লি জু-শিল আর নেই বিচ্ছেদের পর ফের নতুন প্রেম খুঁজছেন মালাইকা অরোরা? দেশের প্রেক্ষাগৃহে ‘বলী’ আসছে ৭ ফেব্রুয়ারি হামলার পর প্রথমবার জনসমক্ষে সাইফ আলী খান অবশেষে প্রকাশ্যে এলো চিত্রনায়িকা পপির স্বামী-সন্তানসহ ছবি সমালোচনা সহ্য না হলে উপদেষ্টা পদ ছেড়ে রাজনৈতিক দল করেন-রিজভী লালমনিরহাটে বিয়ে করে ফেরার পথে বরের মৃত্যু পুঁজি রক্ষার আন্দোলনে বিনিয়োগকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা কমাতে, একীভূতকরণে নজর দেয়ার সুপারিশ বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে আরও কমার আশঙ্কা বান্দরবান সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে কিশোরের পা বিচ্ছিন্ন ট্রেনের ধাক্কায় ট্রাকের চালক সহকারী নিহত জগন্নাথ হলে সরস্বতী পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে দুই উপদেষ্টা রমজান মাসে গ্যাস বিদ্যুতের বড় সংকটের শঙ্কা বাংলাদেশকে সহায়তা করছে ব্রিটিশ সংস্থা তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরতে হবে-নাহিদ ইসলাম লোকজনকে অতিষ্ঠ করে ফেলছে তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মোংলা বন্দর সম্প্রসারণসহ একনেকে ১৩ প্রকল্প অনুমোদন

  • আপলোড সময় : ০৩-০২-২০২৫ ১২:২৯:৪৬ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৩-০২-২০২৫ ১২:২৯:৪৬ পূর্বাহ্ন
মোংলা বন্দর সম্প্রসারণসহ একনেকে ১৩ প্রকল্প অনুমোদন
স্টাফ রিপোর্টার
মোংলাবন্দরের সুবিধাদি সম্প্রসারণ সহ ১৩ প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে অনুমোদন দিয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৫৩২ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৪ হাজার ৯৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ সহায়তা থেকে ৭ হাজার ৩২৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজেস্ব তহবিল থেকে ১ হাজার ১০৬ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
গতকাল রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা যায়, ৮ আগস্ট সরকার গঠনের পর প্রথম একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয় ১৮ সেপ্টেম্বর। এতে চারটি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়, এর মধ্যে নতুন প্রকল্প দুটি, বাকি দুটি পুরনো প্রকল্প। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ২২২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৯৬৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা, বিদেশি ঋণ থেকে ১০০ কোটি ১৬ লাখ টাকা ও বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ১৫৮ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
প্রথম একনেক সভায় যে চারটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে, সেগুলো হলো— বাখরাবাদ-মেঘনাঘাট-হরিপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ প্রথম সংশোধিত প্রকল্প; দুটি মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ (সুন্দলপুর-৪ ও শ্রীকাইল-৫) ও দুটি অনুসন্ধান কূপ (সুন্দলপুর সাউথ-১ ও জামালপুর) প্রকল্প; তথ্য আপা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়ন (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প; এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্প।
গত ৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় একনেক সভা। ওই সভাতেও চারটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। এতেও নতুন প্রকল্প ছিল দুটি, বাকি দুটি পুরনো প্রকল্প। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয় ২৪ হাজার ৪১২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে সাত হাজার ৭৪৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ থেকে ১৬ হাজার ১২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ও বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে আসবে ৬৫৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এ বৈঠকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প-২-এর অধীন এলেঙ্গা-হাটিকামরুল-রংপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প; পাজিলিয়েন্ট আরবান অ্যান্ড টেরিটোরিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট; কালুরঘাটে কর্ণফুলি নদীর ওপর একটি রেল-কাম-রোড সেতু নির্মাণ প্রকল্প; এবং মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প। গত ২৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় তৃতীয় একনেক সভা। এতে পাঁচটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। এর মধ্যে দুটি নতুন, তিনটি পুরনো। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ছয় হাজার ৬২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে এক হাজার ২৪২ কোটি ৮১ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ থেকে চার হাজার ৭৮৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ও বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৩২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। এ বৈঠকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো-পূর্বাঞ্চলীয় গ্রিড টেওয়ার্কের পরিবর্ধন ও ক্ষমতাবর্ধন প্রকল্প; ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অব ইউনিভার্সিটিস ইন বাংলাদেশ টু প্রমোট ইউথ ইন্টারপার্টনারশিপ প্রকল্প; মোংলা বন্দরে আধুনিক বর্জ্য ও নিঃসৃত তেল অপসারণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প; চট্টগ্রাম পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প; এবং ইমার্জেন্সি মাল্টি-সেক্টর রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স প্রজেক্ট। গত ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় এই সরকারের চতুর্থ একনেক সভা। ওই সভায় ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সাতটি প্রকল্প নতুন ও তিনটি পুরনো। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৯৭৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে এক হাজার ৬৪২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ও বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৩৩১ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। এ বৈঠকে অনুমোদিত প্রকল্পের তালিকায় রয়েছে-চিলমারী এলাকায় (রমনা, জোড়গাছ, রাজিবপুর, রৌমারি ও নয়াহাট) নদী বন্দর নির্মাণ প্রকল্প; আশুগঞ্জ-পলাশ সবুজ প্রকল্প; কুমিল্লা অঞ্চলে টেকসই কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্প; অর্থনৈতিকভাবে জীবনচক্র হারানো রাবার গাছ কর্তন, পুনরায় বাগান সৃজন ও রাবার প্রক্রিয়াকরণ আধুনিকায়ন প্রকল্প; ভোলা নর্থ গ্যাস ক্ষেত্রের জন্য ৬০ এমএমএসসিএফডি সক্ষমতার প্রসেস প্ল্যান্ট সংগ্রহ ও স্থাপন প্রকল্প। এই তালিকায় আরও রয়েছে রশিদপুর-১১ নম্বর কূপ খনন প্রকল্প; টুডি সিসমিক সার্ভে ওভার এক্সপ্লোরেশন ব্লক ৭ অ্যান্ড ৯ প্রকল্প; মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৬০টি ডে-কেয়ার সেন্টার প্রকল্প; বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেটগুলোর পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন প্রকল্প; এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেটগুলোর পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন প্রকল্প।
সর্বশেষ গতকাল রোববার মোংলাবন্দরের সুবিধাদি সম্প্রসারণ সহ ১৩ প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে অনুমোদন দিয়েছে। একনেকে অনুমোদন দেয়া প্রকল্পগুলো হচ্ছে- চট্টগ্রাম মহনগরীর উত্তর কাট্টলী ক্যাচমেন্ট প্রকল্প; মোংলা বন্দরের সুবিধাদিও সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্প; ধান, গম ও ভুট্টার উন্নততর বীজ উৎপাদন এবং উন্নয়ন প্রকল্প; বিএডিসির বিদ্যমান বীজ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিতরণ ব্যবস্থাদির আধুনিকীকরণ এবং উন্নয়ন প্রকল্প; ফুড সেফটি টেস্টিং ক্যাপাসিটি ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট; তিতাস ও কামতা ফিল্ডে ৪টি মূল্যায়ন-কাম-উন্নয়ন কূপ খনন প্রকল্প; হবিগঞ্জ, বাখরাবাদ ও মেঘনা ফিল্ডে ৩-ডি সিসমিক জরিপ প্রকল্প; সিলেট-১২নং কূপ খনন প্রকল্প; ঘোড়াশাল চতুর্থ ইউনিট রি-পাওয়ারিং প্রকল্প; বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন, চট্টগ্রাম জোন প্রকল্প; স্ট্রেংদেন্ড সার্ভিস ডেলিভারি সিস্টেমস ফর ইমপ্রুভড মাইগ্রেশন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবল রেইনট্রিগ্রেশন প্রকল্প; ঢাকা মহানগরী ও পূর্বাচলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ দৃষ্টিনন্দন করা প্রকল্প এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন প্রকল্প। এছাড়া মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সেটি হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কঠিন বর্জ্য সংগ্রহ এবং অপসারণ ব্যবস্থাপনা (দ্বিতীয় সংশোধিত) চতুর্থবার মেয়াদ বৃদ্ধি প্রজেক্ট।
একনেকে অবগতির জন্য উপস্থাপন করা চারটি প্রকল্প হচ্ছে-প্রাণীসম্পদ অধিদফতরের সক্ষমতা জোরদারকরণ প্রকল্প; এ্যাকুয়েট ইকোসিস্টেম কনজারভেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ইন দ্য নর্থ ইস্ট অ্যান্ড সাউথ ওয়েস্ট রিজন অব বাংলাদেশ ইউএসআইডিইকোসিস্টেম প্রকল্প; চর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট প্রজেক্ট ব্রিজিং (ডিডিএসপি-বি) প্রজেক্ট এবং পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রী কারাগারের ইতিহাস, ঐতিহাসিক ভবন সংরক্ষণ ও পারিপার্শ্বিক উন্নয়ন প্রকল্প।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স